ওসি লিয়াকতের কু-কর্ম ----- বিস্তারিত দেখুন

মৃত মেজর সিনহার মুখে ও বুকে লাথি মারে ওসি প্রদিপ, গুলি করে লিয়াকত।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, ওই চেকপয়েন্ট মেজর সিনহার গাড়িটি থামিয়ে মেজর সিনহাকে গাড়ি থেকে হাত উঁচু করে নেমে আসার নির্দেশ দেয়া হয়। তখন তিনি দুই হাত উপরে তুলে গাড়ি থেকে নেমে আসার সাথে সাথে এসআই লিয়াকত হোসেন কুত্তার বাচ্চা বলে গালি দিয়ে পরপর তিন চারটি গুলি ছুড়ে তাকে হত্যা করে এবং উল্লাস প্রকাশ করে ওসি প্রদীপ কে খবর দেয়। সাথে সাথে ওসি প্রদীপ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সিনহার মুখে ও বুকে লাথি মেরে তার পকেট এবং ব্যাগ চেক করতে বলেন। স্থানীয় একটি হেফজখানার ইমাম, মুয়াজ্জিন ও দুজন হাফেজ সেনা কর্মকর্তাদের কাছে বলেছেন, শনিবার রাতে প্রাইভেট কার থেকে যে ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করেছে সেটা ছিল একটি নির্মম ঘটনা। তারা জানান, প্রাইভেট কারের ওই আরোহী (মেজর সিনহা) ফাঁড়ির পুলিশ ইন্সপেক্টর লিয়াকতের নির্দেশমতে ওপরে দুই হাত তুলে বলেন, ‘বাবা আপনারা অহেতুক আমাকে নিয়ে উত্তেজিত হবেন না। আপনারা আমাকে নিয়ে একটু খোঁজ নিন।’ ওই প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো বলেন, মেজর সিনহা এমন কথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই 'কুত্তার বাচ্চা' বলেই তাঁর (মেজর সিনহা) বুকে গুলি চালাযন পুলিশ ইন্সপেক্টর লিয়াকত হোসেন। তৎক্ষণাৎ তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয় শামলাপুর বাজারের আবদুল হামিদ নামের একজন ফেরিওয়ালা সেনা দলের কর্মকর্তাদের বলেছেন, এটা সাংঘাতিক অন্যায় কাজ হয়েছে। আমাকে যেখানেই নিয়ে যান আমি সত্য কথা বলব। পুলিশ ক্রস ফায়ারের মতো করে একজন জ্যান্ত মানুষকে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, গাড়ি থেকে নামার পর পরই পুলিশ ইন্সপেক্টর গাড়ির আরোহীকে (মেজর সিনহার) বুকে গুলি চালিয়ে দেয়।” অভিযোগ রয়েছে ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর ওসি প্রদীপ টেকনাফে যোগদান করেন। এর পর থেকে গত দুই বছরে শুধু টেকনাফে ১৪৪টি কথিত বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা সাজানো হয়েছে। আর এসব বন্দুকযুদ্ধের নামে ওসি প্রদীপ কুমার ২০৪ জন মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে।

Comments